১৫ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩১শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রচ্ছদ ময়মনসিংহ ময়মনসিংহের এসপি আহমার উজ্জামানের দায়িত্বশীল কর্মদতায় আইন-শৃংখলায় অভাবনীয় সাফল্য
৩০, ডিসেম্বর, ২০২০, ৫:৪২ অপরাহ্ণ - প্রতিনিধি:

ময়মনসিংহ অফিসঃ

ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের মর্যাদা ও সম্মান বাড়াতে চেঞ্জ মেকার হিসাবে কাজ করছেন পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান। জনগণকে শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও সদাচরণে তাদের কথা শুনে কাজ করছেন। আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রণে পেশাদারীত্ব ও কৌশলগত প্রচেষ্টায় দায়িত্ব পালন, অজ্ঞাতনামা-চাঞ্চল্যকর অপরাধের রহস্য উদ্ঘাটন, কুখ্যাত ডাকাত ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে অপরাধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রেখেছেন। করোনাকালে মানবিক পুলিশী কার্যক্রমে তাঁর ব্যতিক্রমী ভুমিকা প্রশংসার দাবিদার। পাশাপাশি বিট-পুলিশিংয়ের মাধ্যমে আইন-শৃংখলা অভাবনীয় উন্নতি সাধন করেছেন।

পুলিশ অফিস সুত্রে জানা গেছে, গেলো বছরের তুলনায় এ বছর তুলনামূলক পর্যালোচনায় ডাকাতি, দস্যুতা, খুন, চুরি, অপহরণ, নারী নির্যাতন, চোরাচালান ও মাদক সংক্রান্ত অপরাধ অনেকাংশে কমেছে। তার তদারকী ও প্রত্যক্ষ সুচারু দিক নির্দেশনায় বহুল আলোচিত, চাঞ্চল্যকর কু-লেস খুন-ডাকাতি মামলা দ্রুত রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়। ত্রিশাালে খুনসহ ডাকাতির ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা নং-১৪(৮)১৯, নান্দাইলের চাঞ্চল্যকর অটোচালক হত্যায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা নং-২১(৩)২০২০, ফুলবাড়ীয়ায় অজ্ঞাতনামা গার্মেন্টসকর্মী হত্যায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা নং-১১(৬)২০২০, বহুল আলোচিত ত্রিশাল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শিার্থী তৌহিদ হত্যায় কোতোয়ালীর মামলা নং-০২(৫)২০২০, পিকনিক স্পটে গার্মেন্টসকর্মী হত্যায় ত্রিশালে মামলা নং-২১(৩)২০২০, রাস্তার পাশে হেনা আক্তার হত্যায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে ভালুকার মামলা নং-২(৩)২০২০, ফ্যাক্টরীকর্মী সুমি হত্যায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে ভালুকা থানার মামলা নং-৩২(৩)২০২০, গফরগাওয়ে তাকলিমা (১৯)কে ধর্ষণ ও হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে গফরগাঁও থানার মামলা নং-১১(৩)২০২০, কুতুব উদ্দিন হত্যায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে হালুয়াঘাট থানার মামলা নং-১৫(৪)২০২০, ভালুকায় অর্ধগলিত অজ্ঞাত লাশ নদীতে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার মামলা নং-১৯(৬)২০২০, স্ত্রী কন্যাকে জোড়া খুনের কোতোয়ালীর মামলা নং-৭৯(১)২০২০, স্বামীর হাতে স্ত্রী হত্যায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে ত্রিশাল থানার মামলা নং-৪৬(৮)২০২০, ভালুকার গোলাম রব্বানী হত্যায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা নং-১৩(১০)২০২০, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অটো-রিক্সাচালক দুলাল মিয়া হত্যায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালীর মামলা নং-৯৭(১১)২০২০ মামলাগুলো ছিল ব্যাপক আলোচিত। আলোচিত মামলাগুলো দ্রুততম সময়ে রহস্য উদঘাটন এবং জড়িতদের অল্প সময়ে গ্রেফতারে সম হয়েছেন।

এছাড়া চাঞ্চল্যকর গণধর্ষন মামলা সমূহের রহস্য উদঘাটন এবং জড়িতদের গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়ে জবানবন্দির ব্যবস্থা করেছেন। মামলাগুলো হলো মুক্তাগাছা মামলা নং-১৬(০১)২০২০, ঈশ্বরগঞ্জ মামলা নং-৮(৫)২০২০, কোতোয়ালী মামলা নং-৩৮(৪)২০২০, ধোবাউড়া মামলা নং-১৬(১)২০২০, ভালুকা মামলা নং-২(১)২০২০, নান্দাইল মামলা নং-৩১(০৮)২০২০, ভালুকা মামলা নং-৫২(১১)২০২০।

বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতিতে চৌকশ পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অসহায় ও দরিদ্রদের পাশে দাঁড়িয়েছে ময়মনসিংহ পুলিশ। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করন, আক্রান্ত ও বিদেশ ফেরতদের হোম কোয়ারেন্টাইন এবং লকডাউন নিশ্চিত করা হয়েছে। শুধু সরকারী নয় নিজেদের বেতন ভাতা, রেশন এবং অভ্যান্তরিন কেনাকাটার অর্থ সাশ্রয় করে বস্তিবাসী, অসহায়, অস্বচ্ছল, কর্মহীন, শ্রমিক, বেদে, নাপিত, কুলি, মাঝি, এতিম, পঙ্গু, বিধবা, হাফেজ, সাংস্কৃতিকর্মী, ডেকোরেটর শ্রমিক, দোকান কর্মচারী ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষসহ সাড়ে ৫ হাজার পরিবারকে বাড়ী বাড়ী গিয়ে খাদ্য সহায়তা পৌছে দিয়েছেন। এছাড়া অসহায় ছিন্নমুল, ভাসমান ৭শত জনকে রান্নাকরা খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। একইসাথে জেলা পুলিশের হট-লাইনে প্রাপ্ত কলের ভিত্তিতে মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে গভীর রাতে ত্রাণ পৌছানো চলমান রেখেছেন। ঈদুল-ফিতরে পথশিশুদের নতুন জামা দেয়া হয়েছে। এভাবে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার হয়ে উঠেন মানবিক পুুলিশ।
পুলিশ অফিস আরো জানায়, করোনাকালে পুলিশের নিজস্ব অর্থায়নে এসকে হাসপাতালের চিকিৎসক ও নমুনা সংগ্রহকর্মীদের পিপিই প্রদান, অন্যান্য রোগে আক্রান্ত চিকিৎসা বঞ্চিতদের ভ্রাম্যমান চিকিৎসার ব্যবস্থা, যানবাহনসহ হাটবাজারে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ, মাস্ক বিতরণ এবং ধানকাটা শ্রমিকদের বিভিন্ন জেলায় পৌছানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ধাপেও পুলিশ মাস্ক ব্যবহারে নিশ্চিতে লিফলেট ও মাস্ক বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। জেলা পুলিশের এরূপ মানবিক কর্মকান্ডে পুলিশ বিভাগের ভাবমূর্তি জনসম্মুখে উজ্জ্বল এবং ভাবমুর্তি অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। যা প্রশংসার দাবি রাখে।

মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার পুলিশ হবে জনতার” এ শ্লোগানে উজ্জিবীত হয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে পুলিশী সেবা সহজ ও জনবান্ধব করতে জেলা পুলিশ চালু করেছে আধুনিক ডিজিটাল সেবা। প্রাথমিকভাবে কোতোয়ালী মডেল থানায় এটা চালু হয়েছে। রেঞ্জ ডিআইজি ব্যারিস্টার হারুন অর রশীদের উদ্ভাবনী পরিকল্পনায় পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে আধুনিক ডিজিটাল সেবা পদ্ধতি সাধারণ মানুষের দোড় গোড়ায় পৌঁছাতে সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে। থানায় আগত সেবা প্রত্যাশীদের তথ্য, জিডি, অভিযোগ ও অন্যান্য যে কোন বিষয়ে সেবা নিতে এখন আর থানা ভবনে প্রবেশ করা লাগছে না। মূল প্রবেশ পথের কাছে স্বচ্ছ কাচ নির্মিত ঘরে ডিজিটাল টোকেন সিস্টেমের মাধ্যমে সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এতে থানায় ঢুকে জনসাধারণের মনস্তাত্বিক বাধা দূর হচ্ছে। এই ব্যবস্থায় সেবা গ্রহীতা এসে প্রথমে সার্ভিস ডেলিভারী অফিসারের কাছ থেকে তার চাওয়া সেবা নির্দিষ্ট টোকেন সংগ্রহ করেন। টোকেন সংগ্রহ করে সেবা গ্রহীতা অপেক্ষা করেন। নির্দিষ্ট সময়ে আগত সেবা গ্রহীতার টোকেন নাম্বার ডিজিটাল মনিটরে ভেসে উঠে এবং অটোমেটিক সাউণ্ট সিস্টেমে তার সিরিয়াল নাম্বার ধরে ডাকা হয়। তিনি পাশর্^বর্তী ডিউটি অফিসারের রুম থেকে নির্দিষ্ট সেবা গ্রহণ করেন। সেবা গ্রহীতা সেবা প্রদানের মান সম্পর্কে মন্তব্য করেন। সেবা গ্রহীতা